রাজধানীতে করোনা ভাইরাস, ডেঙ্গু মশার উপদ্রবের পাশাপাশি তীব্র গ্যাসের সমস্যা দেখা দিয়েছে। সকাল ৭ টা থেকে দুপুর ২ পর্যন্ত গ্যাস সরবরাহ পাচ্ছে না গৃহিনীরা। ফলে তাদের দৈনন্দিন কাজে দেখা দিয়েছে সমস্যা। তবে এ সমস্যা নিয়ে তিতাস গ্যাস কতৃপক্ষের নেই কোন ধরনের মাথা ব্যাথা। এমনকি তাদের নেই কোন ধরনের জবাবদিহিতা। তারা তাদের ইচ্ছেমতোই চলছে। সাধারন মানুষের সেবায় নিয়োজিত এ সংস্থাটি এখনও পর্যন্ত তেমন কোন ব্যবস্থা নিতে সক্ষম হয় নি। রাজধানীর ডেমরা, যাত্রাবাড়ি ও মিরপুরসহ ঢাকার বেশিরভাগ এলাকায় এ সমস্যা দেখা দিয়েছে।
এ বিষয়ে অভিযোগ করে ডেমরার গ্রীনসিটি এলাকার সাফিয়া খাতুন জানান, বিগত ৭ মাস থেকে এ সমস্যা চলছে। সকালে নাস্তা তৈরী করতে গেলে দুপুরের খাবার রান্না করা যায় না। আর দুপুরের খাবার তৈরী করতে গেলে সকালের নাস্তা রান্না হয় না। তাই দুবেলার খাবার একসাথেই করতে হয়। এ সমস্যার দ্রুত সমাধান চাই।
যাত্রাবাড়ি এলাকার নাজমুন নাহার বলেন, গ্যাসের সমস্যা সমাধানে কারো কোন ভূমিকা নেই। এ সমস্যা দিন দিন তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে। দ্রুত সমস্যার সমাধান না হলে আমাদের দুর্ভোগ আরও বাড়বে।
এতকিছুর পরও পরিবর্তন হয় নি জ্বালানী গ্যাস সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান তিতাস গ্যাসের সেবা প্রদানে। তাদের টনক নড়ে নি। তারা এ বিষয়ে জনগন কিংবা মিডিয়াকে কোন ব্রিফিংও করে নি। তবে আমরা কি বুঝবে তাদের এ আচরনে। তারা কোন কিছুকেই পরোয়া করছে না। সাধারন মানুষ তাদের দ্বারা সংগঠিত দুর্ভোগের কারন জানতে চায়। এছাড়াও কবে নাগাদ এ সমস্যার সমাধান করা হবে তাও জানতে চায়। লকডাউনের মধ্যে গ্যাসের এ সমস্যা অনেকটা গোদের উপর বিষফোঁড়া।
এ বিষয়ে জানতে জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ বিভাগের উপ সচিব আ. খালেক মল্লিক বলেন, আমাদের তিতাস কোম্পানী এ বিষয়ে বলতে পারবে। তবে এ বিষয়ে আমি নম্বর দিয়ে সহযোগীতা করতে পারবো।