নারায়ণগঞ্জ অফিস
ফতুল্লায় দুর্নীতি দমন কমিশনের কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে ব্যবসায়ির কাছ থেকে ২ লাখ টাকা ঘুষ নিতে এসে গণধোলাইয়ের শিকার সেই প্রতারক ইমরান হোসেন হায়দারের সহযোগী দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী সানজিল (৩০) কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
তবে এখন পর্যন্ত অধরা রয়ে গেছে অপর সহযোগী সেলিম (৩৮)। ঘটনার দিন তারা নিজেদেরও দুদক এর কর্মকর্তা পরিচয় দিয়েছিলেন। এবং ইমরান হায়দার গণধোলাইয়ের শিকার হলে কৌশলে তারা পালিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: হাজীগঞ্জের ভয়ঙ্কর অপরাধী সানজিল আতঙ্ক
গ্রেফতারকৃত সানজিল ওই প্রতারণা মামলার এজাহারভুক্ত আসামী। ফতুল্লা থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) হাফিজুর রহমান রোববার দুপুরে সানজিলের বিরুদ্ধে ৫ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠান।
এর আগে শনিবার বিকেলে বিশেষ অভিযান চালিয়ে হাজিগঞ্জ প্রাইমারী স্কুলের সামনে থেকে তাকে গ্রেফতার করেন উপ পরিদর্শক (এসআই) হাফিজুর রহমান। গ্রেফতারকৃত সানজিল জেলার ফতুল্লা থানার হাজীগঞ্জ এলাকার মৃত আলী হোসেনের ছেলে।
এদিকে দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী সানজিলকে গ্রেফতারের পর এলাকায় নেমে আসে স্বস্তি। তার নানা অপকর্ম নিয়ে মুখ খুলছে এলাকাবাসী।
নাম না প্রকাশের শর্তে এলাকাবাসীরা জানান- দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী সানজিল নিজেকে কখনো যুবলীগ, ছাত্রলীগ নেতা দাবি করে। সে গড়ে তুলেছে একটি কিশোর গ্যাং ও সন্ত্রাসী বাহিনী। সে তাদের দিয়ে নানা অপরাধ কর্মকান্ড পরিচালনা করে থাকে। বিভিন্ন অপরাধে সানজিলের বিরুদ্ধে থানায় একাধিক অভিযোগ রয়েছে। বছর খানেক আগে তল্লার তুষার নামে ছেলেকে আঘাত করে রক্তাক্ত করে সানজিলগং। এ ঘটনায় আদালতে মামলা চলমান।
তারা আরো জানান, সানজিল হাজিগঞ্জ ও তল্লা এলাকার মাদকের অন্যতম নিয়ন্ত্রকদের মধ্যে একজন। বিভিন্ন কৌশলে মানুষদের সাথে প্রতরণা করে এবং ফাঁদ পেতে অর্থ আদায় ও চাঁদাবাজি করে থাকে। সানজিল বাহিনী এলাকায় সন্ত্রাসের অভয়ারণ্য গড়ে তুলেছে। তার বাহিনীর বিরুদ্ধে মাদক, ইভটিজিং, চাঁদাবাজি, ভূমিদস্যুতাসহ অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে।
সন্ত্রাসী সানজিল ও তার বাহিনীর বিরুদ্ধে কথা বললেই দৈহিক ও মানষিক নির্যাতনের শিকার হতে হয়। এমনকি এলাকা ছাড়াও হতে হয়। তাই তার বিরুদ্ধে কেউ প্রকাশে কিম্বা আইনগতভাবে কোনো ব্যবস্থা নিতে সাহস পায়না। কতিপয় অসাধু প্রভাবশালী মহলের ছত্রছায়ায় প্রতিনিয়ত সে আরো ভয়ঙ্কর রূপ ধারন করছে।